মুনীরুজ্জামানঃ
১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে নির্যাতিত ও নিপীড়িত শেরপুর নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নে সোহাগপুর বিধবা পল্লীর বীরকন্যা করফুলী বেওয়া বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।বীরকন্যা করফুলী বেওয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দিনের সহধর্মিণী।তিনি ২ছেলে,৩মেয়ে,নাতি, নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।বীরকন্যার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর নাতি সুলতান।পারিবারিক সূত্রে, বীরকন্যা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ।অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ১৯
জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২০ জুন তিঁনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সদ্য প্রয়াত বীরকন্যাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে রাত ৮টা৩০মিনিটে সোহাগপুর ডিব মসজিদ চত্বরে।
বীরকন্যার মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন,শহীদ পরিবারের সন্তান,’৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নালিতাবাড়ী পৌরশাখার সাধারণ সম্পাদক মুনীরুজ্জামান। তিনি বলেন,
সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বীরকন্যা করফুলী নির্ভীক সাক্ষি,শত প্রতিকুলতার মাঝেও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রমাণে তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাঁর সাহসী কার্যক্রমের ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকমান বজায় রেখে তদন্তকার্য করা সম্ভবপর হয়েছে,তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন নালিতাবাড়ী উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগ, ‘৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,উদীচী,সেঁজুতি সাহিত্য সংসদ, নবরূপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী।