সেঁজুতি নিউজ ডেস্কঃ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল গ্রুপপর্বেই। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিফাইনালে এসেছে ইংলিশরা। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারলো না জস বাটলারের দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের রীতিমত গুঁড়িয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে রোহিত শর্মার দল জিতেছে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে। ২৯ জুন ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৭২ রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন জস বাটলার। কিন্তু ১৫ বলে ২৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে রিভার্স সুইপ করে উইকেট বিলিয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক। তিনি ফিরতেই ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড।
ফিল সল্টকে (৫) বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। জনি বেয়ারস্টো শূন্য রানেই স্টাম্প হারান অক্ষরের ঘূর্ণিতে। বাঁহাতি এই স্পিনারের তৃতীয় শিকার মঈন আলি (১০ বলে ৮)। আউটটি ছিল বেশ অদ্ভুত। বল প্যাডে লেগে উইকেটরক্ষক পান্তের হাতে চলে গেলে খেয়াল করেননি মঈন, কিছুটা সামনে চলে আসেন। বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন পান্ত।
স্যাম কারান প্রমোশন পেয়ে ওপরে নেমেও দলের কাজে লাগেননি। ৪ বলে ২ করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। হ্যারি ব্রুক ভালো খেলছিলেন। কুলদীপকে রিভার্স সুইপে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ওভারেই আরেকবার একই শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ১৯ বলে ২৫ করা এই ব্যাটার। ইংল্যান্ডের আশা আসলে শেষ তখনই।
স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনিও পড়েন রানআউটের ফাঁদে (১৬ বলে ১১)। ৮৮ রানে ৯ উইকেট হারানো ইংলিশরা কোনোমতে একশ পেরিয়েছে জোফরা আর্চারের ব্যাটে। ১৫ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২১ করেন তিনি। ১৬.৪ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১০৩ রানে। ভারতের দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব আর অক্ষর প্যাটেল নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট বুমরাহর।