সেঁজুতি নিউজ ডেস্কঃ
বাবা,আমরা ভালোই আছি হয়তো ভালো থাকতে হবে তাই,আপনি স্বর্গীয় নক্ষত্রের পথে পাড়ি জমিয়েছে আজকাল এই শহরে,বাড়ি ঘরে অকাল বর্ষণ সব কিছু কেমন জানি ভাসছে, হয়তো আপনি নেই বলে বাবা, আপনি কোথায় কোন যুগের যাত্রার পথে ধিরে ধিরে এগোচ্ছেন! ওখানে কি বন্দরে অবাধ নিরবতা বাবা,আমি বলতে ভুলে গেছি আমাদেরও একশত হাত একশত চোখ বটবৃক্ষের মতো ধৈর্য্য আছে বাবা আমি অনেক অবাক চোখে দেখি আমাদের মাঝে বয়স্ক বাবাকে কিভাবে বেড়ে উঠতে একটু একটু করে কি স্নিগ্ধতায় ভরপুর কোন স্বর্নযুগের বিধাতা আপনি বাবা আপনার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি জ্ঞান কুঞ্জের ছাত্র সমাজ কত কত বইয়ের পাতায় পার হয়ে গেছে সময় অসময়ের গল্প। কত কিছুই তো অজানা রয়ে গেছে কিভাবে দীর্ঘ একটি জীবন বিরাহীন পথ ছুটে চলার গল্প জানা হলো না আর হবে ও না কোনো দিন অনেক তো হলো নিশ্চয়ই আপনি খুব কান্ত আপনার ক্লান্ত দুই চোখে নিরবতার ভাজ দেখি, আমি দেখেছি আপনার দূর দূরান্তে তাকিয়ে থাকা, যে পথে একদিন অবাধ বিচরণ ছিল আপনার আজ যেন সেই পথে একাকীত্বের বেদনা আমি বুঝতাম আপনার দুই চোখে নিঃসঙ্গতা, আপনি ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছিলেন ফেলে আসা রঙিন প্রচ্ছদে মোড়ানো বয়স্ক স্মৃতির পাতায় বাবা, আপনাকে বলা হয়নি কোনোদিন আপনি বটবৃক্ষের মতোই আমাদের ছায়া দিয়েছেন একবুক সবুজ নিঃশ্বাস আপনার ছায়ায় একটু একটু করে বাড়ছিলাম আমরা সবাই, আপনি ছিলেন আমাদের ন্যায়শাস্ত্রের ধ্রুবতারা আপনি সত্য অটল সুন্দর। আপনি দারিদ্র্যতা ভালোবাসতেন চিরকাল কারন উচ্চ বিলাসিতার মাঝে ঈশ্বর থাকে না আমরা দেখেছি কিভাবে আপনি কষ্টগুলোকে অতি যত্নের সাথে তুলে রাখতেন নিজের বুকে কিভাবে হাসি মুখে সমস্ত সংসার জয় করতে হয় আমরা শিখে আপনার থেকে। কিন্তু মানুষের চিরকাল ভালো থাকতে নেই এটা হয়তো ঈশ্বরের নিয়ম বিরুদ্ধ, তাই তো সকল কিছু স্তব্ধ করে আপনি পাড়ি জমিয়েছে স্বর্গীয় নক্ষত্রের পথে। বাবা, আপনি বলেছিলেন নবযুগ আসে দুঃখের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু এই যবযুগের যাত্রার পথে আপনি কোথায় বাবা, আপনি অনন্তকালের স্বর্গীয় নক্ষত্র, নক্ষত্রের কোনো মৃত্যু হয় না বাবা।।